তবে সিরাজুল ইসলাম তার রমনা বনাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যান লেখায় দ্বিমত পোষণ করে বলেছেন- “ঐতিহাসিকভাবে রমনা ঢাকা শহরের একটি অন্যতম ঐতিহ্যবাহী স্থান। … ‘রমনা’ একটি সংস্কৃত শব্দ। এর অর্থ রাষ্ট্রীয়ভাবে রক্ষিত একটি স্থান, যেখানে নগরবাসী যায় রমন বা আনন্দ ভ্রমণ করতে, সময় কাটাতে কিংবা শিকার করতে।
ঢাকাবাসী চিরকালেই উৎসব প্রিয়। কিংবদন্তি অনুযায়ী, ১৬০৮ বা ১৬১০ সালে ইসলাম খানের নৌকা যখন বুড়িগঙ্গা নদী তীরে ভিড়ে; সে সময় তিনি বেশ কিছু ঢাকীকে নদী তীরে ঢাক বাজাতে দেখতে পান।
বাংলা অঞ্চলের সনাতন হিন্দু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান উৎসব দুর্গাপূজা। সনাতন ধর্ম বিশ্বাস মতে, পৌরাণিক দেবতা দুর্গা অপরিশীম শক্তির অধিকারী। ঈশ্বরের এই মহাশক্তি ‘দেবী রূপে প্রকাশ পেয়েছে দুর্গার মধ্য দিয়ে’। দুর্গা শক্তির দেবী।
এ শহরে মুদ্রণ যন্ত্র আসার পরে থেকেই প্রকাশিত হতে শুরু করে সংবাদপত্র। ইংরেজি, বাংলা ও উর্দু ভাষার এ সকল সংবাদপত্রগুলো প্রকাশিত হত সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক ভাবে।
মানুষের আদিতম ভাষা হচ্ছে চিত্রকলা। গুহাযুগ থেকে ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক বা নিছক কৌতুহল বশত মানুষ আঁকতে শুরু করে ছবি। এর ভাষা সার্বজনীন হওয়ার এই শিল্পের আবেদনও ব্যাপক। এর ব্যাপকতার জন্য বিভিন্ন সময় পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে নানা প্রতিবন্ধকার স্বীকার হয়েছে এই শিল্প মাধ্যম।
সৌখিন ঢাকাবাসীর জীবনযাত্রা বরাবরই বৈচিত্র্যময়। নানারকম বাহারি শখ রাখতো বলে ঢাকাবাসীকে নিয়ে নানারকম রসালো গল্পও প্রচলিত আছে। যদিও শহরে বসবাসরত নিম্নবিত্তের কাছে বিনোদন ছিল আকাশকুসুম কল্পনা।